ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মাঠে নেমেছেন লবণ চাষীরা

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় চলতি মৌসুমে পাঁচলাখ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন লবণ চাষীরা।উপজেলার মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ১২হাজার একর মাঠে লবণ উৎপাদন করবেন প্রায় ৫-৬ হাজার প্রান্তিক চাষী। ইতিমধ্যে লবণ উৎপাদনের বেড তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

পেকুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জান গেছে, পেকুয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার একর জমিতে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠ পরিচর্যা পুরোদমে শুরু করেছেন তারা। ডিসেম্বর নাগাদ লবণ উৎপাদন শুরু হয়ে চলবে ২০১৮ সালের এপ্রিল পযন্ত।
স্থানীয় কৃষক মো. হাশেম বলেন, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লবণের মৌসুমে দাম মানানসই ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা লাভবান হয়েছিল।

অপর চাষী নাজেম উদ্দিন জানান, বর্তমান সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে লবণের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ায় পেকুয়ার প্রায় ছয় হাজার লবণচাষীদের মধ্যে স্বস্থি বিরাজমান।

রাজাখালী ইউনিয়নের প্রান্তিক লবণচাষী মো. শাহজামাল জানান, গত দুই মৌসুমে সরকার বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করায় এবং সরকারিভাবে উপকূলীয় এলাকার লবণচাষীদের বাঁচাতে লবণ নীতিমালাসহ দাম বৃদ্ধি করায় আমরা লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নিয়ে মাঠে নেমেছি। লবণচাষীরা জানান, উপজেলায় দুই পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন করা হয়। এরমধ্যে একটি হলো সনাতন পদ্ধতিতে কালো লবণ উৎপাদন, অপরটি হলো পলিথিনের মাধ্যমে সাদা লবণ উৎপাদন।

পেকুয়া উপজেলা লবণচাষী সমিতির সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা জানান, পলিথিন পদ্ধতিতে লাভবান হওয়ায় এখন এ পদ্ধতির চাষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে লবণ মণপ্রতি প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ দাম অব্যাহত থাকলে স্থানীয় চাষীরা পুরোদমে লবণ উৎপাদনে আরও সক্রিয় হবেন।

পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, চাষীদের পলিথিন পদ্ধতিতে লবণচাষ করার জন্য আরও উৎসাহিত করতে পারলে এ মৌসুমে লবণ উৎপাদনের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। ফলে দেশে লবণের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত: